রায়পুর (লক্ষ্মীপুর) প্রতিনিধি :
লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে রুনু আক্তার (৩০) নামের এক গৃহবধূকে শ্বাসরোধ করে মুখে বিষ ঢেলে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে স্বামী ফেরদৌস মোল্লার বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে গত শুক্রবার ভোরে (৯ সেপ্টেম্বর) উপজেলার বামনী ইউনিয়নের বাংলাবাজার এলাকার পন্ডিতের বাড়িতে। এ ঘটনায় পরিবার ও এলাকাবাসীর মাঝে ক্ষোভ ও অসন্তোষ বিরাজ করছে। নিহত রুনু আক্তার একই এলাকার মৃত আব্দুল হালিমের মেজো মেয়ে।
পুলিশ নিহতের লাশ উদ্ধার করে সদর হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করে। ঘটনার পর থেকে স্বামী ফেরদৌস পলাতক রয়েছে।
এ ঘটনায় নিহতের মা ফিরোজা বেগম বাদি হয়ে থানায় মেয়ের জামাতা ফেরদৌস মোল্লার বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।
নিহত রুনুর মা ফিরোজা বেগম ও বোন রাহেনা বেগম জানান, প্রায় ১০ বছর আগে ঢাকার নবাবগঞ্জ এলাকার গ্রীল ওয়ার্কসপ ব্যবসায়ী ফেরদৌস মোল্লা বিয়ে করেন রুনু আক্তারকে। তাদের সংসারে ৬ ও ৮ বছরের ২টি কন্যা সন্তান রয়েছে। ফেরদৌস মোল্লা ঢাকায় বসবাস না করে গত ছয় মাস ধরে তার শ্বশুর এলাকা রায়পুর উপজেলার বামনী ইউনিয়নের বাংলাবাজারে এলাকা পন্ডিতের বাড়িতে রুনুকে নিয়ে ভাড়া বাসায় থাকতেন। পাশাপাশি ওই বাজারে গ্রীল ওয়াকর্সপ দোকান দিয়ে ব্যবসা করতেন। ব্যবসার ফাঁকে স্ত্রী ও ২ সন্তান থাকা সত্ত্বেও ফেরদৌস মোল্লা একই এলাকার এক প্রবাসীর স্ত্রীর সাথে পরকীয়ায় মেতে থাকতেন। স্বামীর পরকীয়া জানতে পেরে রুনু ফেরদৌসকে একাধিকবার নিষেধ করায় মানুষিক ও শারীরিকভাবে তাকে নির্যাতন করা হতো।
গত বৃহস্পতিবার রাতে একই কারণে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে প্রচন্ড ঝগড়া হয়। একপর্যায়ে ফেরদৌস ক্ষিপ্ত হয়ে রুনুকে শারীরিক নির্যাতন করে শ্বাসরোধ করে হত্যার পর মুখে বিষ ঢেলে দিয়ে চিৎকার দেয়। এ সময় আশপাশের লোকজন এগিয়ে এসে রুনুকে মৃত ভেবে তার অভিভাবককে খবর দিলে তাকে উদ্ধার করে রায়পুর সরকারি হাসপাতালে ভতিং করা হয়। পরে অবস্থার অবনতি দেখে কর্তব্যরত ডাক্তার দ্রুত লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে আহত রুনুকে প্রেরণ করেন।
রায়পুর থানার পরিদর্শক (ওসি তদন্ত) মো. সোলায়মান বলেন, মৃত গৃহবধূ রুনু আক্তারের লাশ সদর হাসপাতালের বেড থেকে উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। ফেরদৌস মোল্লাকে গ্রেপ্তার এবং মৃত্যুর রহস্যটি উদঘাটনের চেষ্টা চলছে।